ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) লাঠি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ ২০২৫) বিকেলে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মিছিলটি শাহবাগ মোড় ঘুরে ফের রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ধর্ষণসহ নারী নিপীড়ন ঠেকাতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সব ধর্ষণের বিচার দাবি করেন।
মিছিলের ব্যানারে ৯ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া; সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও নারী-নিপীড়ন প্রতিরোধের আইনসমূহে প্রয়োজনীয় যৌক্তিক সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধনের উদ্যোগ, যৌন হয়রানির প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ, ধর্ষণের মামলা গ্রহণে থানার জটিলতা দূর করা, ভুক্তভোগী ও সাক্ষীকে সকল প্রকার সুরক্ষা দিতে সাক্ষী সুরক্ষা আইনের পুনঃপর্যালোচনা ও প্রয়োগ করা।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও বহিষ্কারের ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা; দায়িত্বশীল কেউ ‘স্লাটশেমিং’ করলে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া; এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমন্বয়ে ‘স্বাধীন যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল’ কার্যকর করার দাবি জানানো হয়।
মিছিলে অংশ নিয়ে লেখক নিগার সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, “প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে লাঠি নিয়ে এসেছি। আমরা শিশু, নারীসহ প্রত্যেকের নিরাপত্তা চাই।”
ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিচার দ্রুত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “দ্রুত বিচার মানে এই নয় যে, কারও সঙ্গে আবার অন্যায় হোক। অপরাধীরা শাস্তি পেলে অপরাধ করার প্রবণতা কমে আসবে।”